যৌথ অভিযানে উদ্ধার ১৪৪ আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেপ্তার ৬৪

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে গত ১০ দিনে বিভিন্ন ধরনের ১৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৪ জন অস্ত্রধারীকে। গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশ স্থাপনা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র এবং লাইসেন্স স্থগিত করা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে এ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা ১৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৮টি রিভলবার, ৪১টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ১৭টি শটগান, ৫টি পাইপগান, ১৯টি শুটারগান, ১০টি এলজি, ২২টি বন্দুক, ১টি একে ৪৭, ১টি গ্যাসগান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান, ৩টি এসবিবিএল, ৩টি এসএমজি এবং ১টি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার রয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ স্থাপনায় আক্রমণ চালায়। সেসময় কয়েকটি থানার পুলিশ নির্বিচারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান। তখন তাদের অনেকেই থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে যান। সেই সুযোগে সেসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত ১২ আগস্ট থেকে কয়েক দফায় সেই অস্ত্র-গোলাবারুদ ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন। পরদিন থেকেই অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। পুলিশ, র্যাব, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিব, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও সন্ত্রাসীদের কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করছে।
এছাড়া গত ২৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিগত সরকারে আমলে দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যে যারা জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধেও যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ স্থাপনা থেকে বিভিন্ন ধরনের ৫ হাজার ৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। একই দিন লুট হয় ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ। তাছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের শেলও লুট হয়। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৬৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।