প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সিজেএর আহ্বান
শ্যামল দত্তসহ গ্রেপ্তার সব সাংবাদিকের মুক্তি নিশ্চিত করুন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শ্যামল দত্ত
ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও গ্রেপ্তারকৃত অপর সাংবাদিকদের মুক্তি নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমনওয়েলথ জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ)। গত বুধবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
সিজেএর বিবৃতিতে বলা হয়, গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা কর্তৃপক্ষের হাতে ক্রমবর্ধমান নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। গণমাধ্যমের অধিকার রক্ষায় যারা কাজ করছেন তারা বলছেন, বিভিন্ন মামলায় ৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। সর্বসম্প্র্রতি যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- ভোরের কাগজ সম্পাদক ও কমনওয়েলথ জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিজেএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামল দত্ত এবং একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। এর আগে ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে আটক হন বিশিষ্ট সাংবাদিক দম্পতি একাত্তর টিভির ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ। তাদের প্যারিসের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার ঠিক আগে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশে মিডিয়া আউটলেটগুলোকে টার্গেট করে অধিকতর সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের আটকের ঘটনা ঘটছে; সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কয়েকজন সাংবাদিককে হামলার লক্ষ্যবস্তু এবং হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশের সম্পাদক পরিষদ সাংবাদিকদের আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে স্বাধীন গণমাধ্যমের সুরক্ষার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। গণমাধ্যমের অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো বিশ্বব্যাপী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে সিজেএ বলেছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতির প্রতি চরম হুমকিস্বরূপ। আমরা মর্মাহত যে, বাংলাদেশের ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক এবং কমনওয়েলথ জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিজেএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামল দত্তকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত জঙ্গিরা অপহরণের পর দেশের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে- যা তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন হত্যার অভিযোগ বলে প্রতীয়মান হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শ্যামল দত্ত ৫২ সাংবাদিকের একজন- যাদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে; বাহ্যত এই কারণে যে, তারা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন, সহিংস ঘটনাগুলো নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছিলেন- যেসব ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিল। এসব সাংবাদিকের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিরা আত্মগোপন করে আছেন। আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি শ্যামল দত্ত ও গ্রেপ্তারকৃত অপর সাংবাদিকদের মুক্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে তাদের প্রতি যেন অন্যায়-অবিচার না করা হয় তাও নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি।
পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তার অঙ্গীকার প্রদর্শন করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।