আমেরিকায় টাইম টেলিভিশনকে টার্গেট করেছিল হাসিনা সরকার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ক্ষমতায় থাকার সময় দেশের বাইরের সংবাদ মাধ্যমগুলোকেও টার্গেট করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। সমালোচনা বা বিরোধী মতের সংবাদ প্রচার হলেই সংবাদমাধ্যমগুলোকে হুমকি-ধমকির মুখে পড়তে হতো। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় বাংলাদেশি কমিউনিটির টেলিভিশন টাইম টেলিভিশনের ক্ষেত্রে। সরকারবিরোধী খবর প্রচার করার অভিযোগে টাইম টেলিভিশন ও এর সিইও আবু তাহেরকে কালো তালিকাভুক্ত করে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
টাইম টেলিভিশন ছিল বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে একটি শক্তিশালী মিডিয়া, যা প্রথম আলোচনায় আসে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার প্রথম সাক্ষাৎকার প্রচার করার পর। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সরকার টাইম টেলিভিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি টাইম টেলিভিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রলোভন ও হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন আবু তাহের।
২০১৯ সালে জাতিসংঘ অধিবেশন উপলক্ষে টাইম টেলিভিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জানিয়ে দেন যে, শেখ হাসিনার যেকোনো অনুষ্ঠানে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে টাইম টেলিভিশনের ওপর ‘সরকারবিরোধী’ একটি ধারণা তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের জানান, তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র ধারণার ভিত্তিতে একটি সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা কতটা গণতান্ত্রিক। এছাড়াও, টাইম টেলিভিশন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলের বিপুল সম্পত্তি নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় সরকারের রোষানলে পড়ে।
আবু তাহের বলেন, ২০১৯ সালে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে বিভিন্ন জন তাকে বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। নিউ ইয়র্কের কয়েকজন স্টেট সিনেটর তাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে গেলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি আর বাংলাদেশে যাননি।
আরো পড়ুন: আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে সময়ের প্রয়োজন
সম্প্রতি, শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার পর আবু তাহের জানতে চান তাদের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে কিনা। তিনি সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলেন। মাসুদ বিন মোমেন জবাবে নিশ্চিত করেন যে, এখন আর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই এবং টাইম টেলিভিশনকে মুক্তভাবে সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি দেয়া হয়েছে।