বিশ্বনেতাদের ড. ইউনূস
সুন্দর বিশ্ব গড়তে তারুণ্যে বিনিয়োগ করুন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বনেতাদের টেকসই উন্নয়ন ও একটি সুন্দর বিশ্ব গড়তে নিজ নিজ দেশের তরুণদের পেছনে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষম্যের মতো বড় বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই উদ্দেশ্যে, তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে এবং আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে তাদের দক্ষতা ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন হয়েছে তার জন্যই আমি অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘে ভাষণ দিতে পারছি। জনগণের শক্তি, বিশেষ করে যুবসমাজ বাংলাদেশকে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। যুব নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাজনৈতিক সচেতনতার এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিবর্তনের সঙ্গে অনেক সমস্যা এসেছে। কিন্তু তরুণদের দৃঢ় সংকল্প দেশে আরও সমান ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরি করছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখা এবং সব নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। আমার দেশ শান্তি, উন্নয়ন ও অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার বজায় রাখবে। স্বাধীনতা ও মর্যাদার নীতিগুলো বাংলাদেশ সরকার এবং এর আন্তর্জাতিক অবস্থানের কেন্দ্রবিন্দু।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অসামান্য সাহসিকতার সঙ্গে স্বাধীনতা ও তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তরুণরা আজ ন্যায়বিচার, সাম্য ও ভবিষ্যতে নিজেদের ভূমিকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এমন একটি পরিবেশ খুঁজে পাওয়া উচিত যেখানে তারা বেড়ে উঠতে, উদ্ভাবন করতে এবং নেতৃত্ব দিতে পারে।
তারুণ্যের ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সমসাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে তরুণদের অর্থপূর্ণ এবং জোরালো অংশগ্রহণ প্রয়োজন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে যে শিক্ষা নেয়া হয়েছে তা এখনও দেশের তরুণদের কর্ম ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলিত হচ্ছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে বাংলাদেশের তরুণরা তাদের মূল্যবোধ ধরে রেখেছে। তারা প্রমাণ করেছেন যে স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং বৈষম্য ছাড়া সব মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা কেবল উচ্চাকাঙ্ক্ষা হয়েই থাকতে পারে না- এটি পদ-ভেদাভেদ নির্বিশেষে সবার প্রাপ্য।