বাজার সিন্ডিকেট ভাঙছে না কেন, প্রশ্ন বাংলাদেশ ন্যাপের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাজারে দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির কোনো সংস্কার কার্যক্রম নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) নেতৃদ্বয় প্রশ্ন তুলেছেন, বাজার সিন্ডিকেট এখনো ভাঙছে না কেন? তারা বলেছেন, ফ্যাসীবাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করলেও নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব এখনো বিদ্যমান আছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বর্তমানে বাজারে চাল, ডিম, আলু, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজিসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম সিন্ডিকেটের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের পতনের পর খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি সাধারণ বলে মনে করা যায় না। চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের আয়ের বড় একটি অংশই ব্যয় হয় চাল কিনতে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বর্তমানে বাজারে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বিগত সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে যে বাজার সিন্ডিকেটের কথা বলা হতো, তা এখনো বিদ্যমান। ট্রাককে চাঁদা দিতে হচ্ছে, ফলে পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া, বাজারে পণ্য আসলে কারসাজি করে ব্যবসায়ীরা মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দেন।
নেতৃদ্বয় জানান, আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়ার পরেও বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, নতুন সরকার আসার পরও অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে শক্তিশালী হতে দেয়া হচ্ছে কেন? বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য প্রয়োজন টেকসই ব্যবস্থা। অনিয়ম, মজুতদারি ও একচেটিয়া কারবারি সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি
তারা আরো বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটনের জন্য দরকার একটি বাজার কমিশন গঠন করা, যার মাধ্যমে সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে এবং নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে স্থিতিশীল হবে। নিত্যপণ্যের সহনীয় মূল্যই পারে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে।