আটকে আছে সার্ভিসপুলের ১৯৪ উপসচিবের পদোন্নতি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যহীন মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ার লক্ষ্যে প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত ২৫ ক্যাডারের বৈষম্যমূলকভাবে পদোন্নতি বঞ্চিত বিসিএস ১৩তম থেকে ২২তম ব্যাচের উপসচিবদের দ্রুততম সময়ে জ্যেষ্ঠতাসহ যুগ্মসচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি প্রদানের দাবি উঠেছে। সচিবালয়ে তারা এ নিয়ে একাধিকবার সভাও করেছেন। দেড়যুগের বেশি সময় ধরে পদোন্নতিবঞ্চিত ১৯৪ উপসচিব এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন সচিবের কাছে আবেদন করেছেন।
তাদের দাবি, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সুপিরিয়র সার্ভিস পুলভুক্ত জ্যেষ্ঠ, মেধাবী, যোগ্য এবং বারংবার পদোন্নতি বঞ্চিত বিসিএস ১৩তম থেকে ২২তম ব্যাচের উপসচিব তারা। গত ১৬ বছর ধরে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বঞ্চনার প্রতিকার চেয়ে গত ১৩ আগস্ট ও ১৯ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। ১১ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে আবেদন করে একাধিকবার সাক্ষাত করেন। আশ্বস্ত করা হলেও গত ১৮ আগস্ট উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব পদে দুটি পদোন্নতির ক্ষেত্রে একই ধরণের বৈষম্যমূলক নীতির পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস-উর রহমান বলেছেন, আগের প্রশাসনে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে একটু সময় লাগবে।
আরো পড়ুন: পুলিশে ৩ হাজারের বেশি কনস্টেবল নিয়োগ
প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ বিবেচনার কথা বলা থাকলেও বারবারই তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যসব ক্যাডারদের পদোন্নতিতে অনেক সময় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারের ১৩ ব্যাচের অনেকে সিনিয়র সচিব হলেও সার্ভিসপুল ক্যাডার এখনো উপসচিবই রয়ে গেছেন। পদোন্নতি না পেয়ে অনেকে অবসরেও গেছেন।
বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি- পদোন্নতি নীতিমালা নিয়ে দায়ের করা উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে সার্ভিসপুলে আসা উপসচিবদের আগের পরিচিতি বিলুপ্ত হবে। অর্থাৎ তারা অন্যসব উপসচিবের সঙ্গে যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসাবে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নিয়মনীতি মানতে চায় না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে সার্ভিসপুলে আসা কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে তারা আবেদন জমা দিয়েছেন। এর আগে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন। পদোন্নতির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দেয়া হলেও সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) সভা ডাকা হচ্ছে না। সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বলা হয়েছে, তাদের পদোন্নতির জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংগ্রহ চলছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এসএসবি সভা করে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসন ক্যাডারের ব্যাপারে এমন নির্দেশা নেই বলে জানা গেছে।