সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে যা জানা গেলো

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে সুপারিশ দিতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। তবে কতটুকু বাড়ানো যায় সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে কমিটি। বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান কমিটির প্রধান। এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরির বয়সসীমা নেই। তিনি আরো বলেন, ‘বয়স যেটা বাড়বে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হবে না। হলে তা স্থায়ীভাবে হবে। পাঁচ বছর পরে আবার তা পরিবর্তন হবে সেটা ঠিক না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘তবে কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো কতটুকু বাড়ানো যায়। এই কমিটির প্রধানত একটাই ফোকাস- চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্য প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে মধ্যে সুপারিশ জমা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। গত সোমবার কয়েক শ চাকরিপ্রত্যাশী রাজধানীর শাহবাগে সমবেত হন। একপর্যায়ে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এসে অবস্থান নেন। দুপুরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এরপরও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবি জানান। ওই দিনই দাবির বিষয়টি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। এ কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে পরামর্শ দেবে। পরে আরো তিনজন সদস্য যুক্ত করা হয়।