ভাগ্নের স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, অতঃপর...

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম

মজিদ মিয়া
গাজীপুরের কালীগঞ্জে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভাগ্নের স্ত্রীকে শালবনে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের খালু শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি।
নিহত ফাতেমা খাতুন শায়লা (২৩) পাবনার ফরিদপুর থানার আগপুঙ্গুলী গ্রামের এবাদ আলীর মেয়ে ও একই গ্রামের রুবেল খন্দকারের স্ত্রী। মজিদ মিয়া (৪২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মরহুম আছিম উদ্দিন শেখের ছেলে। মজিদ মিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বোর্ডমিল এলাকায় বসবাস করেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) কালীগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কালীগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন জানান, গত ২ জুলাই কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৮দিন পর (১০ জুলাই) কালীগঞ্জ উপজেলার মিরেরটেক এলাকার একটি শালবন থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ছবি, ওড়না ও জুতা দেখে স্বজনরা লাশটি শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহিদুল ইসলাম ১৪ জুলাই কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এর আগে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ৭ জুলাই কালিয়াকৈর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের খালু শ্বশুর মজিদ মিয়াকে বৃহষ্পতিবার ( ৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। মজিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিনি জবানবন্দিতে জানান, চাকরির প্রলোভনে শায়লাকে কৌশলে ওই শালবনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শায়লাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ শালবনে রেখে পালিয়ে যান তিনি। মজিদের দেয়া তথ্যমতে নিখোঁজের ৩ মাস পর ফাতেমা খাতুন শায়লার হত্যার রহস্য উদঘাটন হলো।