দিল্লি পালালেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫০ এএম

পালাতক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি) মনিরুল ইসলাম দেশ ছেড়ে দিল্লিতে পালিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ভারতের রাজধানী দিল্লির কানঘট প্লেসে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে প্রবাসী বাংলাদেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিল্লির একটি গ্রোসারি স্টোর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে দেখা গেছে সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তাকে।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমি পালিয়ে যাইনি, পালাবো না। আমি দেশেই ছিলাম, দেশেই আছি। ভবিষ্যতেও দেশেই থাকব।’ তবে তখন নিরাপত্তার জন্য সরকারি বাসায় ফিরে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি।
সর্বশেষ, নিজেই দেশত্যাগের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকেই দেশ ত্যাগ করেছেন। মনিরুলের ভাষায়, আপনাকে সেদিন সাক্ষাৎকারে যা বলেছিলাম, সেটাই তখন সত্য ছিল। আমি ঢাকাতেই ছিলাম, আত্মগোপনে ছিলাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই দেশ ছেড়েছি।
এদিকে, ফেসবুক পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের দাবি করেন, দিল্লির কানঘট প্লেস এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পলাতক বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাস করছেন। তিনি ভারত সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার জন্য।
মনিরুল ইসলামকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী অভিযানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা গ্রহণের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, এসবির কোনো সদস্য আন্দোলনে অস্ত্রসহ ডিউটি করেনি। আমাদের দায়িত্ব গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা, সরাসরি লড়াই করা নয়। কাজেই এমন টাকা আনার প্রশ্নই ওঠে না, পুরো বিষয়টি মিথ্যা।
আরো পড়ুন: সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব
উল্লেখ্য, মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় তিনি হুমকির মুখে পড়েন।