খালাস পেলেন মির্জা ফখরুল-আমির খসরু-রিজভী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম

মির্জা ফখরুল-আমির খসরু-রিজভী
দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে খালাস দিয়েছে আদালত। ২০১৮ সালে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত মামলাটি খারিজ করে এই আদেশ দেন। আজ মামলার ধার্য তারিখ ছিল, তবে বাদী এবি সিদ্দিক ২০ বার আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে আদালত মামলাটি গড়হাজির দেখিয়ে খারিজ করে দেন এবং আসামিদের বেকসুর খালাস দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলামের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে এ মামলা করেন, এবং ২০২২ সালের ৯ জুন আদালত মামলাটি আমলে নেয়। ঢাকার তৎকালীন মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা অভিযোগটি তদন্ত করে তেজগাঁও থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে থানা তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। সেদিন তিনি কুমিল্লায় থাকা নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ওই কর্মীকে বলেছেন, ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে। মামলায় এ বি সিদ্দিকী আরো দাবি করেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবীর রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীরা ঢুকে পড়েছে। ঢাকার জিগাতলায় ছাত্রদলের কর্মীরা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করেছে। মিরপুরে মারপিট করেছে ছাত্রদল কর্মী।
আরো দাবি করা হয়, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিবহনে আগুন দিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্রী ধর্ষণ ও ছাত্রছাত্রী নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে দিয়ে এই তিন আসামি সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছেন।