যৌথ অভিযানে ২৯৭ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১৪৮

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে গত ৩৫ দিনে বিভিন্ন ধরনের ২৯৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করাসহ ১৪৮ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশ স্থাপনা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও লাইসেন্স স্থগিত করা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে এ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। বুধবার (৯ অক্টোবর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৭টি রিভলবার, ৭৩টি পিস্তল, ২১টি রাইফেল, ৩৬টি শটগান, ৭টি পাইপগান, ৪০টি শুটারগান, ২৮টি এলজি, ৪১টি বন্দুক, ১টি একে-৪৭, ৫টি এসএমজি, ৪টি গ্যাসগান, ১০টি এয়ারগান, ১০টি এসবিবিএল, ২টি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ও ২টি থ্রি-কোয়াটার উদ্ধার করা হয়। যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ স্থাপনায় আক্রমণ চালায়। সে সময় কয়েকটি থানার পুলিশ নির্বিচারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। তখন তাদের অনেকেই থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে যায়। সে সুযোগে সেসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত ১২ আগস্ট থেকে কয়েক দফায় সেই অস্ত্র-গোলাবারুদ ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন। পরদিন থেকেই অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। পুলিশ, র্যাব, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিব, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও সন্ত্রাসীদের কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করছে।
এছাড়া গত ২৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিগত সরকারে আমলে দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যে যারা জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধেও যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।