শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা চাইবে আন্তর্জাতিক অপরাধট্রাইব্যুনাল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
সরকার দেশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে নিয়োগ দিয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়েছে, তবে বিচারক নিয়োগ বাকি ছিল। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আইন উপদেষ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে এবং এক মাসের মধ্যে বিচার শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টিরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আশা করছি মাস খানেকের মধ্যে পুরো বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। রবিবার বন্ধের দিনেও তদন্ত সংস্থার কাজ চলছিল।’
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, বিচারক নিয়োগ হলে প্রাথমিক কাজ শুরু হবে এবং এ সপ্তাহেই শেখ হাসিনাসহ পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বিচারক নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হয়ে উঠবে। তারপর আমরা প্রয়োজনীয় কিছু অর্ডার চাইব, যার মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করার আবেদন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাহায্য প্রয়োজন হবে। ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আদেশ আসবে, কিন্তু বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’
এছাড়া, শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত হুকুমদাতা ও অন্যান্য অভিযুক্তদের ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, ‘যারা নির্দেশ দিয়ে বা যাদের কারণে এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাদের আমরা প্রথমে প্রায়োরিটি তালিকায় নিয়ে এসেছি।’
আরো পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা সহায়তা
তিনি আরো জানান, ‘আইন অনুযায়ী, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। বাংলাদেশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে, এবং এর মাধ্যমে অনেককে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’