যে শর্তে আত্মসমর্পণ করতে চান সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম সুষ্ঠু ও পেশাদার তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কোনো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে গ্রেফতার হতে রাজি বলে জানিয়েছেন। সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যার পর আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী, এমপি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা গা ঢাকা দেন। একইভাবে আলোচিত হয় মনিরুল ইসলামের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর। দিল্লিতে তাকে দেখা গেছে বলে গুঞ্জন ছড়ায়, তবে মনিরুল নিজেই এই খবরকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর রমনা এলাকায় নিজের সরকারি বাসার সামনে থেকে ঘুরে আসার কথা উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি দেশে আছেন এবং পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় কোথাও যেতে পারেননি। ভারতে চলে যাওয়ার সাম্প্রতিক গুঞ্জনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি তার বিরুদ্ধে আনা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়, তবে তিনি আত্মসমর্পণেও প্রস্তুত।
মনিরুল ইসলাম পুলিশের ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) শাখায় প্রায় ১৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ডিএমপির মুখপাত্র হিসেবে গণমাধ্যমে ছিলেন আলোচিত মুখ। ২০২১ সালে তিনি বিশেষ শাখার প্রধান হন। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা গ্রেফতার হলেও মনিরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থেকে নিজের অবস্থান জানান দেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনিরুল ইসলামের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে দিল্লির একটি দোকানে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালের মার্চে মালদ্বীপ সফরের পর তিনি দুই দিন দিল্লিতে অবস্থান করেছিলেন।
আরো পড়ুন: সুজেয় শ্যামের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন
তিনি আরো জানান, বর্তমানে দেশে আছেন এবং আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত, তবে জঙ্গিদের দ্বারা হত্যার হুমকির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে তবেই গ্রেফতার হবেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয় যে মনিরুল ইসলাম দিল্লিতে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা আনার অভিযোগ এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।