যেভাবে এগোচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম

নির্বাচন কমিশণ ভবন। ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে গঠিত ৬টি কমিশন এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে, নতুন করে গঠিত ৪টি কমিশনের গেজেট এখনো প্রকাশিত হয়নি। গেজেট প্রকাশের পর এসব কমিশনের কাজ শুরু হবে।
৩ অক্টোবর ৫টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশ করা হয়। কমিশনগুলো হলো- বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন, নির্বাচন, এবং দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে, ১৭ অক্টোবর নতুন ৪টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ ৪টি কমিশন হলো-স্বাস্থ্য কমিশন, গণমাধ্যম কমিশন, শ্রমিক অধিকার কমিশন এবং নারী বিষয়ক কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, প্রথমে গঠিত ৬টি কমিশন গেজেট প্রকাশের পরই কাজ শুরু করেছে। বাকি ৪টি কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ গেজেট কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশ হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনও এর মধ্যে গেজেট প্রকাশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রথমে ড. শাহদীন মালিককে প্রধান করা হলেও পরবর্তীতে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি
গেজেট হওয়া ৬টি কমিশন সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিটি কমিশন তাদের কাজের জন্য নিয়মিত বৈঠক করছে এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে। কমিশনগুলো নিজেদের ওয়েবসাইট চালু করে দেশের সাধারণ মানুষকেও তাদের মতামত দেয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কাজ সম্পর্কে সদস্য অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, আমরা এখন ফুলটাইম কাজ করছি। আমাদের মধ্যে বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। প্রাথমিক সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করবো।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেন, আমরা আশা করছি একটি জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী তৈরি করতে পারবো। ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়েছে এবং আমরা সাধারণ মানুষের মতামতও সংগ্রহ করবো।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য এ কে এম ফিরোজ আহমেদ জানান, আমরা এখন পর্যন্ত একবার বৈঠক করেছি। আরো কিছু বৈঠক করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো।
প্রথমবারের মতো বিশাল কমিশন সংস্কার উদ্যোগ
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্র সংস্কার, এবং সেই উদ্দেশ্য পূরণে গঠন করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ১০টি কমিশন।
আরো পড়ুন: এখন গুম-খুন ও ভয়ের সংস্কৃতি নেই
কমিশনগুলোর কাজের লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার এনে প্রথাগত কাঠামো ও সিস্টেমের উন্নতি