মোহাম্মদপুরে ‘নৈরাজ্য’ ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো বিভিন্ন
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করেছে। গত দুই
দিনে ঢাকা উদ্যান, বসিলা, চাঁদ উদ্যান ও জেনেভা ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে
অন্তত ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ অভিযান এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা
ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নেয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মোহাম্মদপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান বলেন, সন্ত্রাসী ও কিশোর অপরাধী এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ৪৫ জন এবং রবিবার রাত থেকে সোমবার সকালে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং একটি অভিশপ্ত কালচার। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান ছিল এবং এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক মদদদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
জেনেভা ক্যাম্পে সম্প্রতি চারজন হত্যার ঘটনায় তিনি জানান, এটি মূলত মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘটিত হয়েছে। অভিযানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ চলছে।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেশ
কিছু অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। শেরশাশুড়ি রোড থেকে দুই অস্ত্র বানানোর কারিগরকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ৪০টি সামুরাই (ছুরি) উদ্ধার হয়েছে। বুদ্ধিজীবী
কবরস্থানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং রোড ডাকাতির ঘটনায়
জড়িত চারজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মোহাম্মদপুরের শেরশাশুড়ি রোড থেকে দুজন অস্ত্র
বানানো কারিগরকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে আমরা ৪০টি সামুরাই (ছুরি) এবং বিভিন্ন
ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এছাড়া বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে
আমরা ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম আমরা উদ্ধার
করেছি। সম্প্রতি রোড ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চার জনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
এবং তাদের একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছে।
তিনি জানান, মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধে এবং মোহাম্মদপুরবাসীর মধ্যে শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ বাড়াতে পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল অপারেশন ও ব্লক রেইড দেয়া হচ্ছে।