বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের যে বার্তা দিলো ৩ দল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৯ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত
পরপর তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা। সংবিধান পরিবর্তন ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ নানা ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দলগুলোর সঙ্গে আলাদা তিনটি বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তারা দাবি করেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণে কোনো সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে না। বিগত ১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচন বাতিলসহ তাদের অন্যান্য দাবির সঙ্গেও রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক বাস্তবতায় সামনে আসে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের ইস্যু। রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবি জানিয়ে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। গত মঙ্গলবার শহীদ মিনারে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে পদত্যাগের আল্টিমেটামও দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। আলোচনার শুরুটা হয় বিএনপির সঙ্গে।
শনিবার(২৬ অক্টোবর) ওই বৈঠকে বিএনপি নেতারা সাংবিধানিক সংকটের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত হতে পারেননি।
এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার পরপর তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। দুপুরের বৈঠকে এবি পার্টি ও বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে তারা জানান, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো। রাষ্ট্রপতিকে সরাতে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেয়া হলে সাংবিধানিক সংকট থাকবে না বলেও জানান তারা।
রাতে সমন্বয়করা আলোচনায় বসেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে। তারা জানান, বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত দরকার।
বিগত ১৪, ১৮, ও ২৪ এর নির্বাচন বাতিলের দাবি, একইসঙ্গে সেসব প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।