বাংলাদেশের যে সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ সম্প্রতি ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দর ব্যবহার না করে মালদ্বীপের মাধ্যমে পোশাক পণ্য রপ্তানি শুরু করেছে, যা ভারতের জন্য বিশাল রাজস্ব ক্ষতির কারণ হতে পারে। শনিবার (২ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম লাইভমিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশি পোশাক পণ্য আগে ভারতীয় বিমানবন্দরের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে পৌঁছাত, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেগুলো মালদ্বীপে সমুদ্রপথে পাঠানো হচ্ছে এবং সেখান থেকে এয়ার কার্গোতে করে প্রধান ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে।
এদিকে, ভারতের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, রপ্তানির এই বিকল্প রুটের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দুর্বল হতে পারে এবং ভবিষ্যতে পণ্য পরিবহন ও অবকাঠামো প্রকল্পে সহযোগিতার সুযোগও কমে যেতে পারে। এমএসসি এজেন্সির মহাপরিচালক দীপক তিওয়ারি বলেছেন, আগে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে ভারত রাজস্ব পেত, কিন্তু বর্তমানে তা সম্ভব হচ্ছে না।
ভারতের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভারতের কারখানায় উৎপাদিত হয়, যেখানে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় কোম্পানিগুলোই এই কারখানা পরিচালনা করে। তারা এখন এই পরিস্থিতির প্রভাব পর্যালোচনা করছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৪ অর্থবছরে ৪.৩৪ শতাংশ কমে ৪৪.৪৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছর ছিল ৪৬.৪৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি দেয়, যা ভারতীয় পোশাক খাতের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। লাইভমিন্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মালদ্বীপ এয়ারপোর্টস কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড সমুদ্রপথে পণ্য প্রথমে মালদ্বীপে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে আন্তর্জাতিকভাবে বিতরণ করে।
বর্তমানে মালদ্বীপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, তার্কিশ এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা, যারা এই পণ্য পরিবহনে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে এই পরিবর্তন ঘটছে, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও, রিপোর্ট প্রকাশের সময় তাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।