শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ায় তোপের মুখে মোদী!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ এএম

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান (জেএমএম) তথা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গড়ওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে এক জনসভায় বলেন, 'আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির তলে তলে কোনো চুক্তি আছে কি না। অনুগ্রহ করে আমাদের জানানো হোক, কীসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের মাটিতে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। বিজেপি নিজেই বলছে, তাদের শাসিত রাজ্য দিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা আসছে ভারতে।
একইসঙ্গে হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘দ্বৈত’ ভূমিকা নিচ্ছে কেন্দ্র এবং বিজেপি নেতারা। মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার সময় সংবিধানের সামনে মাথা নত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। সমাজের সব অংশ সমান অধিকার পাবে। আমি তাকে (মোদী) প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কি বাংলাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যবস্থা করেছেন? আপনি কেন হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে নামতে দিলেন?
এর আগে ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নেবে এবং তাদের দেশ থেকে বিতারিত করার জন্য কঠোর আইন আনবে। শাহকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে হেমন্ত বলেন, ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ ঠেকানো কি কেন্দ্রের দায়িত্ব নয়? এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো হাত নেই।
উল্লেখ্য, সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ। গণনা ২৩ নভেম্বর। আসন্ন নির্বাচনে জোট বেধে লড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের শরিকেরা। জেএমএমের সঙ্গে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশনের আসনরফা চূড়ান্ত হয়েছে। জেএমএম লড়বে ৪৩, কংগ্রেস ৩০ আসনে। এছাড়াও আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন লড়বে যথাক্রমে ৬ এবং ৪ আসনে। তবে ছতরপুর, বিশ্রামপুর এবং ধানওয়ার— এই তিনটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে জোট। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার পত্রিকা।
আরো পড়ুন: হঠাৎ শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে সরানো হলো, কীসের ইঙ্গিত?