শমী কায়সার-তাপস রিমান্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় ইশতিয়াক মাহমুদ নামে একজনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ নভেম্বর) তাদেরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী তার রিমান্ডের জোর দাবি জানান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১০ তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন শমী কায়সার আদালতে বলেন, আমি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমি শেখ হাসিনা সরকারকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করিনি। আমাকে হেয় করার জন্য এই মামলা দেয়া হয়েছে। আমি টেলিভিশনে কখনো জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিই নি। এসময় গান বাংলার তাপস আদালতকে বলেন, আমি নির্দোষ। আমি কখনো পালাইনি। গান বাংলা আর বাড়িতে ছিলাম। নিয়মিত অফিস করেছি। আমাকে গান বাংলা অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া গত ৩ নভেম্বর রাত ১২ টার দিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিববুল্লাহ তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় আজকে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ইশতিয়াক মাহমুদসহ অন্যরা ছাত্রজনতার সঙ্গে একত্রিত হন। তারা উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরগু আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র উক্ত মঞ্চ হইতে ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডার এজাহারনামীয় আসামীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ ও আর্থিক সহযোগীতায় অন্যান্য আসামীরা ব্যাপক দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে দেশী ও বিদেশী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইশতিয়াকের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা, মারধরসহ গুলি বর্ষণ করতে থাকে। আসামিদের ছোড়া গুলির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনিসহ ছাত্রদের অভিভাবক ও ছাত্রজনতা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে আসামিদের ছোড়া অনেক গুলি তার পেটে, পিঠে, হাতে, মাথায় লাগলে গুরুতর আহত হয়।