সমন্বয়কদের কেউ কেউ সরকারের সমালোচনা করছেন? তাদের মধ্যেও কি সমন্বয়হীনতা কাজ করছে?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম

সারজিস আলম-হাসনাত আব্দুল্লাহ-আব্দুল হান্নান মাসুদ- শফিকুল আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে কথা বলেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল আলম। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শফিকুল আলম।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় সমন্বয়কদের কেউ কেউ সরকারের সমালোচনা করছেন? তাদের মধ্যেও কি সমন্বয়হীনতা কাজ করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, রেভুলিউশন একটা ব্যাপার, পোস্ট রেভুলিউশন আরেকটা ব্যাপার। রেভুলিউশনে আমাদের শত্রু ছিলেন একজন, শেখ হাসিনা। ডিক্টেটর।
এখন আপনি সরকারের কাছে যে গতিতে কাজ চাচ্ছেন, সেটা হয়তো সেভাবে হচ্ছে না। একটা কাজ তো অনেকে অনেকভাবে করে। আমরা একভাবে ভাবি, আর আপনি ভাবছেন কাজটা হয়তো অন্যভাবে হওয়া উচিত। সেটা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে এবং যেকোনো সমালোচনাকে আমরা ওয়েলকাম করি। কিন্তু সমালোচনা মানে এই না যে বিভক্তি এসে গেছে। স্যার (ড. ইউনূস) কিন্তু একটা কথা বলেন। আমরা বড় একটা ফ্যামিলি। এই ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ভিন্নমত থাকবে। মাঝেমধ্যে ক্ষুদ্র ঝগড়া হবে, কথা কাটাকাটি হবে। কিন্তু, দিন শেষে আমরা জানি আমরা সবাই ফ্যামিলির পার্ট।
শেখ হাসিনার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, আমার মনে হয়, শেখ হাসিনা নিজে বড় রকমের দুর্নীতিবাজ। আবার তিনি দুর্নীতিবাজদের দিয়ে সারাউন্ডেড ছিলেন। এই লোকগুলো তো তাঁর ব্লেসিংয়েই ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করেছে। পুরো সময়টা ছিল লুটপাটতন্ত্র। এই লুটপাটতন্ত্রের একদম উপরে ছিলেন তিনি (শেখ হাসিনা)। তিনি নিজেই তো স্বীকার করেছেন, তাঁকে সামনে রেখে একটা পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। চিন্তা করা যায়? আমি এতে বছর চাকরি করেও তো এক-দুই কোটি টাকা সঞ্চয় করতে পারিনি।
তিনি বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা বুঝেন না শেখ হাসিনা। বুঝলে এতো ভয়ানক হত্যাকাণ্ড চালাতেন না। তিনি যদি সমব্যথী হতেন, তাহলে কি এত বড় ধরণৈর নারকীয় কর্মকাণ্ড চালাতে পারতেন? তার (শেখ হাসিনা) ১৫ বছরের পুরোটাই ছিল একে মারো, তাকে ধরো, তাদের মিটিং করতে দিও না–এ জাতীয়। সমাবেশ করার কারণে একদিনেই ২৫ হাজার মানুষকে তিনি অ্যারেস্ট করেছেন, ভাবা যায়?