ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ এএম

ক্যাথরিনকে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব বুঝতে ব্রিটিশ সরকার ঢাকায় পাঠাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ছবি : সংগৃহীত
ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটি ব্রিটিশ কোনো কর্মকর্তার প্রথম সফর হবে। ক্যাথরিনকে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব বুঝতে ব্রিটিশ সরকার ঢাকায় পাঠাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ঢাকায় আসবেন। তবে তার সফরের এজেন্ডা নিয়ে কোনো বার্তা দেননি সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, আন্ডার সেক্রেটারির সফর নিয়ে উভয়পক্ষ এখনো কাজ করছে।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭-১৮ নভেম্বর ঢাকা সফর করবেন ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি। তার সফরে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক চাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব বুঝতে ব্রিটিশ সরকার আন্ডার সেক্রেটারিকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে বলেন কূটনৈতিক সূত্রগুলোর ধারণা। তিনি ঢাকায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে অবধারিতভাবে আলোচনা করবেন। তবে সব ছাপিয়ে হয়তো অন্তর্বর্তী সরকারের পালস বোঝার চেষ্টা থাকবে ক্যাথরিনের। আর সেই বার্তা ব্রিটেন গিয়ে পৌঁছে দেবেন তিনি।
ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারির কাজের মূল বিষয় আইপিএস। সেক্ষেত্রে আইপিএসে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাওয়ায় গুরুত্ব দেবেন ক্যাথরিন। কেননা, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আইপিএসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। আর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে আইপিএসকে বেশ গুরত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আইপিএসের বাইরে ক্যাথরিনের সফরের ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু, অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।
ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, ক্যাথরিনের সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হতে পারে। সরকার যেসব সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়ে সেগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরা হতে পারে। আর ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি হয়তো সংস্কারে কীভাবে যুক্ত হতে পারে সেই বার্তা দিতে পারে।