বিগত সরকার উন্নয়নের নামে অর্থ লুটপাট করেছে

মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম

শুক্রবার পার্বতীপুরে রেলের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ছবি: ভোরের কাগজ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিগত সরকার উন্নয়নের নামে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়ে অর্থ লুটপাট করেছে। বিনা প্রয়োজনে রেলস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে, রেললাইন বসানো হয়েছে। গোপালগঞ্জে একটা রেললাইন করা হয়েছে, ট্রেনও চলে। কিন্তু ওখানে যাত্রী নাই। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পার্বতীপুরে রেলের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা) পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করব না। যেখানে প্রয়োজন নাই সেখানে একটি বাহারি প্রকল্প কিংবা আমি উপদেষ্টার বাড়ি এইজন্য কোন প্রকল্প আমরা করব না। ১০ হাজার কোটি টাকার বেশী ব্যয় করে কর্ণফুলী ট্যানেল করা হয়েছে কিন্তু ওখানে গাড়ি চলে না। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করা হয়েছে কিন্তু যেখানে প্রয়োজন সেখানে অর্থ নাই।
আরো পড়ুন: একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন উপদেষ্টা ফারুকী
ফাওজুল কবির আরো বলেন, রেলপথ একটি বিকল্প। রেলপথ ছাড়াও সড়কপথ, নৌপথে যাতায়াত করা যায়। সবগুলো একই জায়গায় না করে যেখানে সড়কপথ ভালো সেখানে সড়ক পথের উপর নির্ভর করা, যেখানে সড়ক পথ ভালো নাই সেখানে রেলপথ কিংবা নৌপথের উপর নির্ভর করা। সব জায়গায় নেটওয়ার্ক বাড়ানো হয়েছে কিন্তু পর্যাপ্ত যানবাহন সংগ্রহ করা হয়নি। প্রয়োজনীয় লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন), ক্যারেস (রেল কোচ) সংগ্রহ করা হয়নি। এরফলে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা যাচ্ছে না। দ্রুত তো আর লোকোমোটিভ আনা সম্ভব না। সেজন্য যেগুলো আছে (লোকোমোটিভ-ক্যারেস) সেগুলো মেরামত করে তাড়াতাড়ি যাতে রেল বহরে যুক্ত করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, রেলের যুগ্ম মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মামুনুল ইসলাম, কেলোকার প্রধান নির্বাহী (সিইএক্স) সাইফুল ইসলামসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ফাতেমা খাতুন প্রমুখ।