চলতি মাসেই তাপমাত্রা সর্বনিম্নে নামবে, জানালো আবহাওয়া অফিস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
হঠাৎ করেই শুক্রবার বেড়ে গেছে কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া। বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হতাশা নেমে আসে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। কারণ তাদের আয় রোজকারে নেমে আসে ভাটা। ডিসেম্বর মাস থেকে শীত ও কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় কাজকর্ম অনেকের একদমই কমে গেছে। আর চলতি মাসেই তাপমাত্রা এক অংকে নামবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য উঠলেও কুয়াশা ঝরা প্রকৃতি। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে ভোরের শুভ্র শিশির। বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে শিশির কণা। শিশির মাড়িয়ে কাজে যেতে দেখা যায় চাষিদের। শীত ঘিরে বাংলার ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের আয়োজন।
স্থানীয়রা জানায়, ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত গায়ে ভারি কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে নভেম্বর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে তেঁতুলিয়ায়। এ সময় আকাশ কিছুটা পরিষ্কার থাকায় দেখা মিলে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার বর্ণালী লাবণ্য।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেদ আলী জানান, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকল মানুষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। শীত মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫টি উপজেলায় ২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত বরাদ্দসহ খাদ্য সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।