চলতি বছরে হয়রানির শিকার ৫০০ সাংবাদিক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরে প্রায় ৫০০ সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সংগ্রহ করে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানায় বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা ভয়েস।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৪ এবং সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ৭৬ তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ভয়েস এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আক্টোবর পর্যন্ত ৪৯৭ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ১১৭ জন পেশাগত দায়িত্ব পালনে করতে গিয়ে আক্রমণ ও মামলা শিকার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৫৬৫ জন নারীকে ধর্ষণ ও স্বামী কর্তৃক ১২৯ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। মবের (গণপিটুনি) শিকার হয়ে খুন হয়েছে ১০০ জন।
‘নারীর অধিকার ও মানবাধিকার: প্রযুক্তির সাহায্যে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলা’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় উল্লেখ করা হয়, বাস্তব জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, নারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের ফলে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজন জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও মিডিয়া সাক্ষরতা সম্পৃক্ত বিষয়গুলো প্রাথমিক পর্যায় থেকেই জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি জানায় সংস্থাটি। সেই সঙ্গে মানবাধিকার রক্ষায় প্রযুক্তির সাহায্যে নারীর প্রতি অনলাইন সহিংসতা নির্মূল নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি তোলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এই বছর, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়েআর ফাউন্ডেশনের জরীপে দেখা গেছে, আশংকাজনক হারে নারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ব্যক্তিগত একাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছেন। ৬০ শতাংশ নারী হ্যাকিংয়ের সম্মুখীন হয়েছেন।
সভায় কবি ও লেখক নাহিদা আশরাফী বলেন, ডিজিটাল সহিংসতার আশংকায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে পড়েন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সাইবার বুলিং, স্টকিং, অনলাইন হয়রানি, ডক্সিং, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে বানানো আপত্তিজনক ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে যা নারীদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং পেশাগত ভাবমূর্তিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করছে।