ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে যা বললেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যেসব চুক্তিগুলো রয়েছে, তা চাইলে বাতিল করা অত সহজ ব্যাপার নয় । এ ছাড়া চুক্তিগুলো থেকে যদি বের হয়ে আসতে হয় তার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এক কথায় অনেক ব্যয়বহুল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায়দ্বিতীয় 'বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০'- শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
রিজওয়ানা বলেন, চুক্তি বাতিল করা সহজ নয়। নাইকো চুক্তি বাতিল করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হয়েছে। তবুও অন্তর্বর্তী সরকার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে। এখন বিদ্যুৎ চুক্তিগুলো পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।
সম্মেলনে অন্যান্য বক্তাদের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, অনেকে গত সরকারের আমলে করা বিতর্কিত বিদ্যুৎ চুক্তিগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, বাস্তবায়নের পরেও সরকারকে এখনো অনেক প্রকল্পের ঋণের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেছে, সেগুলোর ঋণের বোঝাও টানতে হচ্ছে। বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। আবার একই সময়ে জ্বালানি রূপান্তরেরও একটা চাপ আছে। যে ধরনের অসম চুক্তি হয়েছে, অস্বাভাবিক খরচে করা হয়েছে, তার দায় বহন করতে হচ্ছে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই সরকারের অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে।
সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় আবাসিক ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল আছে। এটা কাজ করে কি না, তার তদারকি নেই।
বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিটা মূল মালিকদের ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ আইনে নেই। তবে অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত জমি নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অথবা বনায়ন করে কাজে লাগানো যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান। উপদেষ্টা রিজওয়ানা আরো বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৪০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। শুরুতে ১০টির জন্য দরপত্র ডাকা হচ্ছে। ধাপে ধাপে বাকিগুলোর দরপত্র আহ্বান করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনা নতুন করে তৈরি হবে। এ ছাড়া দেশে সৌরবিদ্যুৎ যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।