এনআইডি নিয়ে নতুন নির্দেশনা ইসির

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আগামী জানুয়ারিতে নতুন ভোটাররা তাদের তথ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য ৩-১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, মাঠ-কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনাটিতে বলা হয়েছে, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারো কোনো দাবি আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেয়া আগাম তথ্য অনুযায়ী ১৭ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে অনেকে নির্বাচন অফিসগুলোতে এসে ভোটার হয়েছেন, তাদের তথ্যও যোগ হবে। সব মিলিয়ে খসড়া তালিকায় যুক্ত হতে পারে প্রায় ২৭ লাখের মতো ভোটার। এদেরই কারো কোনো ভুল থাকলে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সাপেক্ষে সংশোধন করে নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন করেন না।
আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য। এই বাস্তবতায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের এই বছরে যে প্রক্রিয়া, এই প্রক্রিয়ায় হালনাগাদটা শেষ হয়ে যাবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি যাব।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ১ জানুয়ারি যে তথ্যটা ভোটার যোগ্য হয়ে যায়, সেই তথ্যটা আমরা ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে শুনানিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে চূড়ান্ত করে থাকি। ২০২৫ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে। আগামী বছর মার্চের পর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব।
এক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব। যখন বাড়িবাড়ি যাব তখন মৃত ভোটারও কর্তন করা হবে। কোথাও দ্বৈত ভোটার থাকলেও বাদ দেয়া যাবে। এ কার্যক্রম শেষ করতে আমাদের আনুমানিক ছয় মাস সময় লাগবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শতভাগ শুদ্ধতার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা।