টানা ৩ দিন ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

টানা ৩ দিন ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। ছবি: সংগৃহীত
নানান কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। যদিও সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। তবুও ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। বায়ুদূষণের তালিকায় এক ধাপ নিচে নেমে এলেও, কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের এই দূষণ সুস্থ মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২০৫। এছাড়া এই মান নিয়ে সারা বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। কোনো শহরের বায়ুমান ৩০০ হলে, সেখানকার বাতাস দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা দিল্লির স্কোর ৩১২। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ২২৭ স্কোর নিয়ে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এছাড়া ২১৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।
এছাড়া শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ঘানার আক্রা এবং পাকিস্তানের করাচি।
আরো পড়ুন: সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে সতর্ক সংকেত
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এদিকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বায়ুমান বর্তমানে সময়ে প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ অবস্থায় সবাইকে বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে ৬টি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে—
১. কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা
২. নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা
৩. নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা
৪. নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেয়া
৫. নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুইবার পানি ছিটানো
৬. পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করা।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরো পড়ুন: হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে ভারতের তথ্য বিভ্রান্তিকর