টঙ্গীতে তাবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দেড় শতাধিক নিহত, যা জানা গেলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনায় ১৫০ থেকে ২০০ জন নিহত হওয়ার একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। এ দাবি নিয়ে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান করেছে। যেখানে এ দাবিকে বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১৫০-২০০ নয় বরং, এই ঘটনায় চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত দাবির একটি ভিডিও নজরে আসে রিউমর স্ক্যানারের। গত ১৮ এবং ১৯ ডিসেম্বরে ফেসবুকের একাধিক অ্যাকাউন্টে (১, ২, ৩)। একই ক্যাপশনে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়৷ ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে লাশের সংখ্যা নিয়ে একই দাবি করতে দেখা গেলেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রমাণ উল্লেখ করেননি তিনি। পরবর্তী অনুসন্ধানে সংঘর্ষ হওয়া দুই গ্রুপের নেতাদের পক্ষ থেকেও ওই দাবি করার প্রমাণ মেলেনি।
এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে গত ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম সচিবালয়ে সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল ইসলাম (৬৫) ও মো. বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খান এবং তাইজুলের বাড়ি বগুড়া। তিনজনের মধ্যে তাইজুল ইসলাম সাদপন্থি বলে জানা গেছে। অপর দুইজন জুবায়েরপন্থি।
এছাড়া দেশের মূলধারার অন্যান্য গণমাধ্যমেও চারজন নিহতের তথ্য পাওয়া যায়। সুতরাং, সম্প্রতি ইজতেমার মাঠে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫০-২০০ জন নিহত হয়েছে শীর্ষক যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর।