বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালুর ঘোষণা ভারতের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এসব বিক্ষোভের মধ্যে কিছু হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, মুখে যা বলা হচ্ছে, আদতে ভারত বাংলাদেশি রোগীদের আকৃষ্ট করতে চায় এবং সে জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
ভারতের বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী দলগুলো বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা বয়কট নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এমনকি বিজেপির নেতারা বাংলাদেশে জরুরি পণ্য সরবরাহও বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তবে এসব একে অপরকে আঘাত করার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে, যা দ্রুত পরিষ্কার হচ্ছে।
এদিকে, ভারতের সীমান্ত শহর পেট্রাপোলকে একটি বড় শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের বড় শহর হিসেবে পেট্রাপোলের গুরুত্ব আরো বাড়ানো হবে। পেট্রাপোল থেকে বাগদা পর্যন্ত রেল স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো রেল সংযোগ স্থাপন করার উদ্যোগও নেয়া হবে।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-র রেইজিং ডে উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য ৩০ কোটি টাকার আধুনিক ভবন উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় শান্তনু ঠাকুর বলেন, পেট্রাপোল ভবিষ্যতে একটি বড় সীমান্ত শহর হিসেবে গড়ে উঠবে। এখানে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দরকার, কারণ বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ কলকাতায় চিকিৎসা নিতে আসে। আমরা চেষ্টা করব, কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো চালু করতে।
বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্যে শান্তনু ঠাকুর বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আগের মতো শক্তিশালী নেই। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছিল, কিন্তু এখন তারা অনেক পিছিয়ে গেছে। মৌলবাদী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক শক্তি, এবং বৃহত্তম অর্থনীতির দিক থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তাই, ভারতের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে। তবে, ভারত সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যদি বাংলাদেশ আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়, তবে এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। কিন্তু, যদি তারা আমাদের ভাগ করতে আসে, তখন আমরা চুপ করে বসে থাকব না।