মূল অভিযুক্ত শেখ হাসিনা, বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত শুরু করলো কমিশন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) সদর দপ্তর পিলখানায় সেনাদের বিদ্রোহে ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উন আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়।
ওই অভিযোগের তদন্তের জন্য বিডিআরের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন করে ড. ইউনূস সরকার। এতে একজনকে সভাপতি ও ছয়জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। ‘স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত’ ওই কমিশন এবার কাজ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই পিলখানায় ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ করেছিল সে দেশের সীমান্তরক্ষী বিডিআর বাহিনী। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আরো কয়েকটি বিডিআর ক্যাম্পে। পিলখানায় বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানেরা ৭৪ জনকে হত্যা করেছিলেন। যার মধ্যে ৫৭ জনই ছিলেন তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ডেপুটেশনে আসা সেনা অফিসাররা।
আরো পড়ুন: হত্যার ষড়যন্ত্র করেই হাসিনাকে ফেরাতে চাইছে ইউনূসের সরকার, অভিযোগ আ.লীগের
সেনা অফিসারদের হত্যার পাশাপাশি বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানেরা সেদিন অফিসারদের মেসে লুটপাটও করেছিলেন। খুন করা হয় কয়েকজন অফিসারের স্ত্রী এবং পরিজনকেও। ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে বিডিআরের নাম বদলে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) করেছিল তৎকালীন হাসিনা সরকার। হত্যাকাণ্ডের ওই মামলায় ১৫২ জনের ফাঁসির সাজা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ ও সংগঠন চিহ্নিত করাও তদন্ত কমিশনের মূল কাজ হবে। ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে কমিশন।