দাবি মানার আশ্বাসে সড়ক ছেড়েছেন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
৫ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাসে সড়ক ছেড়েছেন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিগৃহীত সৈনিকদের পরিবার ও স্বজনরা তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন ।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেটের সামনের সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে এই সদস্যরা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাস পাওয়ার পর সড়ক ত্যাগ করেন। এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’র ব্যানারে অবস্থান নেন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ও তাদের পরিবার-স্বজন। সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ‘সামরিক বাহিনী সংস্কার চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ শীর্ষক ব্যানার প্রদর্শন করে জাহাঙ্গীর গেটের বিপরীত সড়কে দাঁড়িয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
তাদের তিন দফা দাবি হলো- ১. বিগত সরকারের আমলে যারা চাকরি হারিয়েছে, তাদের পুনর্বহাল করতে হবে। ২. প্রতিরক্ষা আইনে সংশোধন। ৩. যদি চাকরি পূনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, পেনশ দিতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দাবি মানা না হলে টানা অবরোধ চলবে।
সৈনিকদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিগত সরকার স্বৈরশাসন ব্যবস্থা কায়েম রাখতে সামরিক বাহিনীর কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে সামরিক বাহিনীতে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শত শত সামরিক বাহিনীর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করেছে, বঞ্চিত করেছে প্রাপ্য পেনশন থেকে, এমনকি জোরপূর্বক ইউনিট কোয়ার্টার গার্ড ও তথাকথিত আয়নাঘরে বন্দি করে অমানবিক নির্যাতন করেছে।
তারা বলেন, সেনাবাহিনীতে এখনো ব্রিটিশ সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে, যা যুক্তিহীন। এই আইনের ধারায় নানা সময়ে সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানসহ বিভিন্ন খাত সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনীর এই ব্রিটিশ সামরিক আইনও সংস্কার করা উচিত।