বাংলাদেশি না যাওয়ায় ভারতে বিদেশি রোগী অর্ধেকে নেমেছে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪০ এএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সীমিত করার ফলে ভারতের হাসপাতালগুলোতে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে যান, যা ভারতের বিদেশি রোগীদের মোট সংখ্যার ৬০ শতাংশ।
তবে গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান ৮০ শতাংশ কমিয়ে দেয়ায় ভারতীয় হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এর প্রভাবেই বিদেশি রোগীদের মোট সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতীয় হাসপাতালগুলোর জন্য এটি বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছে, কারণ চিকিৎসার জন্য আসা বিদেশি রোগীরা ভারতের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ২০২৩ সালে, ভারতের ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’ খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) আয় হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
আল জাজিরা প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, শেখ হাসিনার পতনের আগে ভারতে বাংলাদেশে ভারতীয় পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক ৭ হাজার অনলাইন ভিসার স্লট ছিল। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৫০০ করা হয়েছে। ফলে, বিশেষত চিকিৎসার জন্য ভারত আসা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার হাসপাতালগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই ভিসা সীমাবদ্ধতার কারণে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, কলকাতার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-স্পেশালিটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে প্রতিদিন ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন, কিন্তু এখন সেই সংখ্যা কমে ৩০-এর নিচে নেমে গেছে।
এছাড়া, ভারতের অন্যান্য নামকরা হাসপাতাল যেমন বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ ( সিএমসি)ও এই ভিসা সীমাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ভারতে চিকিৎসা সেবা গ্রহণে আগ্রহী বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, এবং ভারতের স্বাস্থ্যখাতেও চাপ বাড়ছে।