৫০ বছরের সব প্রশ্নের জবাব দিলেন মেজর ডালিম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম) সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে এসে বেশ কিছু আলোচিত মন্তব্য করেছেন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) 'লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীরউত্তম)' শিরোনামের এই লাইভটি বিভিন্ন মহলে ব্যাপক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
লাইভে মেজর ডালিম বলেন, মুজিব মারা যায়নি, তিনি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। বাকশাল বিদায়ের পর জনগণ রাস্তায় নেমে শুকরিয়া আদায় করেছিল।
তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে বলেন, তার জুলুমের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে, মানুষ মুক্তির জন্য রবের কাছে প্রার্থনা করছিল।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে যায় এবং নেতৃত্ব দেয়ার মতো কেউ ছিল না, তখন পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের মুখে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে ছিলাম। সেই ঘোষণার পরই মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।
২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারতের কবল থেকে মুক্তি পেতে ৭১-এর মতো আরেকটি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
জাতীয় সংগীত বিষয়ে মেজর ডালিম বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের না হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্য কোনো দেশীয় কবির গান হতে পারত। পৃথিবীর ইতিহাসে ভিনদেশী কবির গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে নেয়া বিরল ঘটনা।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় মেজর ডালিমের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানা যায়।
এই লাইভের বক্তব্যগুলো নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং তা সামাজিক ও রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।