তিন ভুয়া দুদক কর্মকর্তা রিমান্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সেগুনবাগিচার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার তিন ভুয়া দুদক কর্মকর্তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- কথিত ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থার’ নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান ও পটুয়াখালীর সোলাইমান মুফতি।
এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান শেখ তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আসামিরা ভুয়া দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের নির্দেশিত হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আসামি মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান এর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থা’ (ঠিকানা: ৮৫ নয়া পল্টন (৪র্থ তলা), নামীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুরূপ প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দুদকের সহযোগী বাহিনী পরিচয় প্রদান করে প্রতারণা করে থাকেন।
দুদকের অনুরূপ তাদের নিজস্ব লোগো সংবলিত ইউনিফর্ম, ছবিযুক্ত আইডি কার্ড পরিধানপূর্বক বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ দুই শতাধিক বেসরকারি স্থানে আইন বহির্ভূত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা/ভুক্তভোগী জনগণের কাছ থেকে চাঁদা দাবি অন্যথায় দুদকে অভিযোগ দেয়া এবং অভিযান পরিচালনাকালে বিনা অনুমতিতে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার করে ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এজাহারে আরো বলা হয়, এখন পর্যন্ত চক্রটি সর্বমোট ১৫৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনাসহ সর্বমোট দুই শতাধিক স্থানে প্রকাশ্যে বিচারের নামে চাঁদাবাজি করেছে।