জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের তারিখ অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করালেন সমন্বয়ক হাসনাত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সরকার ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা করা। যেখানে সরকার থেকে পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা নেয়া হয়নি। তাই আমরা এ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সরকার যেহেতু নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে সব রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে। তাই আমরা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি। আমরা রাজনৈতিক ঐকমত্যকে প্রাধান্য দিয়েছি। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা শহরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে জনসংযোগ শেষে শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে পুলিশ লাইন্স থেকে শুরু, কান্দিরপাড়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জনসংযোগ করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো ৩১ ডিসেম্বরের পর এতদিন কেটে গেলেও সরকার এখনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল ও সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে। ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অংশগ্রহণে স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াবো এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তারা এই ঘোষণাপত্রে কী চায় তুলে ধরবো। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া না দিতে পারে।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আহত ও শহীদদের পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু আমরা এখনও আহতদের ও শহিদ পরিবারের আর্তনাদ শুনি। যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা চাই, এ সরকার বেশি গুরুত্ব দেবে আহত ও শহীদদের প্রতি। আমরা দেখেছি, জুলাই ফাউন্ডেশনের আহত ও শহীদদের পরিবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছিল। বলতে চাই, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের যেন কোন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না থাকে।’