কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাকে চিঠি লিখলেন দীপু মনি? যা বললেন পিপি ফারুকী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি চলছিল। এসময় আসামির কাঠগড়ার দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তার সামনে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তার বাঁ পাশে ছিলেন হাসানুল হক ইনু।
একপর্যায়ে দীপু মনির বাঁ হাতে কয়েকটি টিস্যু পেপার এবং ডান হাতে কলম দেখা যায়। পরে টিস্যুর ওপর কিছু লিখতে শুরু করেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিট ধরে টিস্যু পেপারের ওপর ‘চিঠি’ লেখেন সাবেক মন্ত্রী। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির (আইনজীবীর পোশাক পরা) হাতে চিঠিটি তুলে দেন দীপু মনি। এরপর ওই ব্যক্তি নিজের মোবাইল ফোনে চিঠির ছবি তোলেন। সেই সঙ্গে টিস্যু পেপার বাঁ হাতে ভাঁজ করে রাখেন। চিঠির ছবি তোলার বিষয়টি আকারে-ইঙ্গিতে দীপু মনিকে জানান তিনি।
সেই ব্যক্তির হাতে চিঠি হস্তান্তরের পর জুনাইদ আহ্মদ পলকের সঙ্গে কথা বলেন দীপু মনি। সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও তাকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিঠি লেখার বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী জানান, এজলাসকক্ষের যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি শুনানি করছিলেন, সেখান থেকে কাঠগড়া কিছুটা দূরে। আদালতে অনেক আইনজীবী ছিলেন। জনাকীর্ণ আদালতে দীপু মনির চিঠি লেখার বিষয়টি তার নজরে আসেনি।
যদি নজরে আসতো, তাহলে অবশ্যই আদালতের দৃষ্টিতে বিষয়টি আনতেন বলে জানান পিপি ফারুকী। কারণ, একজন আসামি আদালতের হেফাজতে থাকেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি চিঠি লিখতে বা হস্তান্তর করতে পারেন না। এমনকি আইনজীবী ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গে কথা বলা যায় না।
এই বিষয়ে দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম জানান, তার মক্কেল এ ধরনের কোনো চিঠি লিখেছেন কি না, তা তার নজরে আসেনি। কারণ, জনার্কীর্ণ আদালতে তিনি সামনের দিকে অবস্থান করছিলেন। শুনানিতে ব্যস্ত ছিলেন। পরে দীপু মনিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।