বেক্সিমকোর ৪০০০ কোটি টাকা গেলো কোথায়, প্রশ্ন বাণিজ্য উপদেষ্টার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, মাত্র তিন মাস আগে তোলা সেই চার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? এটা একটা অবাক করা বিষয়। টাকা কোথায়? বেক্সিমকোর একটি হাউজিং প্রকল্পে আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘আমার বন্ড’ ছেড়ে তোলা টাকার বিষয়ে এ প্রশ্ন করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেক্সিমকো শিল্প পার্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন তুলেন।
গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বেক্সিমকোর কর্মীরা আরো ৭০০ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ চায়। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা প্রতিষ্ঠানের যদি ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকে, তাহলে তার ৬০ কোটি টাকা বেতন দেয়া তো সেকেন্ডের ব্যাপার। এত সম্পদ থাকলে এলসি খোলাও লাগে না, ব্যাংকের সুবিধারও দরকার পড়ে না।’
সরকার যথেষ্ট উদার ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠান চালুর ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালিয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার তাদের (বেক্সিমকো) পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা পায়নি। সরকার বাধ্য হয়ে এখানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। প্রশাসককে কোনো ধরনের সাহায্য করা হয়নি। বলা হয়েছে, আইনজীবীর নিষেধ আছে কোনো ধরনের তথ্য শেয়ার না করার জন্য।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকোর ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি রিটেইনড আর্নিং রয়েছে জানিয়ে বিষয়টির ফরেনসিক নিরীক্ষা করা হবে কি না, জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরে চুরি হয়েছে, ঘরই তো নেই।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, প্রথমে জানতাম তাদের ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। পরে জানতে পারি, তাদের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় মাথায় রেখে চেষ্টা করেছিলাম প্রতিষ্ঠানটি যেন কোনোভাবে চালু থাকে। সরকার খুবই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে এটি চালুর জন্য।
কারণ, এটি একটি জাতীয় সম্পদ এবং এখানে বহু শ্রমিক নিয়োজিত। সরকার তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতি মাসে ৬০ কোটি টাকা করে শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।