ট্রাম্পের শপথের পর সবচেয়ে বড় চুক্তিটি হলো বাংলাদেশের সঙ্গে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ এএম

এই চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ৫০ লাখ টন (৫ মিলিয়ন টন) এলএনজি কিনবে বাংলাদেশ। ছবি : সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় চুক্তিটি হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ৫০ লাখ টন (৫ মিলিয়ন টন) এলএনজি কিনবে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আর্জেন্ট এলএনজি এ তথ্য জানায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় চুক্তি। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘোষণা দেন, দেশটিতে জ্বালানির অনুসন্ধান বাড়াবেন তিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে আর্জেন্ট এলএনজির চুক্তি প্রমাণ করছে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর এই খাত সংশ্লিষ্টদের আস্থা রয়েছে।
আর্জেন্ট এলএনজি লুজিয়ানাতে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পার এনুম (এমটিপিএ) অবকাঠামো তৈরি করছে। যা তাদের সরবরাহ ব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করবে।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস
যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেসব দেশে গ্যাস পাঠানোর ক্ষেত্রে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ লাইসেন্স প্রদান স্থগিত করে রেখেছিল। তবে গত সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি রহিত করেন ট্রাম্প। কারণ তিনি বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে চান। বর্তমানে বিশ্বের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা ২০২৮ সালের মধ্যে সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়।
লুজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্ট এলএনজির অবকাঠামো তৈরি সম্পন্ন হলে তারা বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের কার্গো বিক্রি করা শুরু করতে পারবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, এই চুক্তি শুধুমাত্র আমাদের বর্ধমান শিল্পের গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী করবে।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চাহিদার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজছে। এক্ষেত্রে তরলীকৃত গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে সরকার। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বব্যাপী যখন গ্যাসের দাম বেড়ে যায় তখন কম দামি কয়লার দিকে আবারও ঝোঁকা শুরু করে বাংলাদেশ।