বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে বাঁধ নির্মাণে কাজ করবে চীন-ভারত: পরিবেশ উপদেষ্টা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমরা আশা করছি বাঁধ নির্মাণে চীন এবং ভারত বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করবে। তিনি জানান, চীনের ইয়ারলুং জ্যাংবো ও ভারতের সিয়াং নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) ফরিদপুরে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ডের ৫৫তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা।
এসময় বাংলাদেশ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আবু হোরায়রা, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করছে চীন। এ বিষয়ে আমরা চীনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চেয়েছি। তবে চীন আমাদের জানিয়েছে, তাদের এই প্রকল্পের কারণে আমাদের নিচু অঞ্চলগুলোর ক্ষতি হবে না। বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত না পেলে এখনই কিছু বলা সম্ভব না।’
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ভারত যেখানে বাঁধ তৈরি করছে সেখানে তাদের নিজেদের জনগণই বিরোধিতা করছে। আমরা নিচু অঞ্চলের দেশ। একদিকে তিস্তা-পদ্মা নদীতে পানি কমে গেছে। এখন যদি ব্রহ্মপুত্র নদেও পানি কমে যায় তাহলে আমরা সমস্যায় পড়ব। কাজেই আমরা চীনের কাছে যেভাবে তথ্য উপাত্ত চেয়েছি, ভারতের কাছেও চাইব। আমাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে তারা যাতে কাজ করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
নদী গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আধুনিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। তবে সেখানে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। এ বছর গবেষণার জন্য ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দ দিয়ে ১ হাজার ১৭৬টি নদীর গবেষণা করা সম্ভব না। আগামীতে গবেষণা খাতে ব্যয় বাড়াতে আমাদের চেষ্টা থাকবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘাতে জড়ানো কারো জন্যই শুভ নয় উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের এভাবে সংঘাতে যাওয়ার পেছনে কারও উসকানি রয়েছে কিনা, তা বের করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। গণতন্ত্রে যাওয়ার পথ এমনিতেই অনেক কঠিন। তারপরেও আমরা যখন এই যাত্রাটা শুরু করলাম কোনো অসহিষ্ণু আচরণের জন্য সেটা যেন বাঁধার মুখে না পড়ে। এ জন্য সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে। মতবিনিময় সভা শেষে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বর ঘুরে দেখেন পানি সম্পদ উপদেষ্টা।