বিবিসিকে দেয়া শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়ে যা জানা গেলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

শেখ হাসিনা
সম্প্রতি, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে “বিবিসির সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ৫৬ হাজারেরও অধিকবার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে ৬ হাজারের অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ৬ শতবার।
ভিডিওটিতে ৩ শতাধিক বার মন্তব্য করা হয়েছে। ভিডিওটির মন্তব্যঘর ঘুরে অধিকাংশ নেটিজেনকে উক্ত দাবির পক্ষে মতামত দিতে দেখা যায়। তবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি সঠিক নয়। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে বিবিসিকে দেয়া শেখ হাসিনার কোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও নয় বরং, এটি ২০০৭ সালে আল জাজিরাকে পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও। অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির ক্যাপশন পর্যবেক্ষণ করে এতে বিবিসির কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে বিবিসির ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট যাচাই করে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার এমন কোনো সাক্ষাৎকার খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও থেকে কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০০৭ সালে কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার ইউটিউব চ্যানেলে ২০০৭ সালের ২৮ এপ্রিল ‘Frost Over The World – Sheikh Hasina Wazed -27 Apr 07‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ৮ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওটির ৩ মিনিট ২২ সেকেন্ডে উপস্থাপক ডেভিড ফ্রস্টকে প্রশ্ন করতে দেখা যায়, আপনি কি আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান? এর উত্তরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা আমাদের জনগণের উপর নির্ভর করে। আমাদের জনগণ যদি আমাকে চায় তাহলে। এটা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। আমি এটা কিভাবে বলতে পারি? অবশ্যই আমি আমার জনগণের সেবা করতে চাই। আমি আমার জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।’
অর্থাৎ, উক্ত ভিডিওটি সাম্প্রতিক কোনো সাক্ষাৎকারের নয়। সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে বিবিসিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।