জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে আছে, তাদেরকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেপ্তার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গ্রেপ্তারের উদ্যোগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।
পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কিছু আসামির বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস দ্রুতই ইন্টারপোলের নোটিশ জারি হবে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশের একটি নৈতিক দায়িত্ব হবে এসব আসামি গ্রেপ্তার করার। আমার বিশ্বাস তারা তাদের গ্রেপ্তার করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কারণে অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম ভালোভাবে প্রচার করলে জনগণ রুখে দেবে। ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ বলতে পারে। কর্তৃপক্ষ কাজ না করলে স্কুল বা কলেজের মাঠে আন্দোলন করতে পারে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ যেন না করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৬ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে তিনি বলেন, আমরা কতটা সফল সেটা জনগণ বলতে পারবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীরা বলতে পারবেন আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন। জনগণের আশা আমরা পূরণ করতে চেষ্টা করছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নৌ পুলিশের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তাদের নৌযান ও জনবলের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এই নৌযান ও জনবলগুলো দিতে পারলে তারা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ সেহেতু আমাদের নৌ পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। নৌপথে অনেক ঘটনা ঘটেছে চাঁদাবাজি হচ্ছে এগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েই আমাদের এখানে এই আলোচনা হয়েছে।