প্রতিবেদন জমা দিতে সময় বাড়ানোর আবেদন করবে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম

কমিশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ছবি : সংগৃহীত
সবার পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত সময়েই প্রতিবেদন জমা দেয়ার আশা করেছিল স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। এরই মধ্যে কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে বেশ কয়েকটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে এ খাতের দুর্দশা এতটাই প্রবল যে নির্ধারিত সময়ে কাঙ্ক্ষিত কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রতিবেদন জমা দেয়ার ক্ষেত্রে আরো কিছুটা সময় চাইবে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন।
কমিশনের অন্যতম সদস্য একুশে পদপ্রাপ্ত প্রখ্যাত ধাত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়বা আক্তার এ কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক ডা. সায়বা আক্তার বলেন, সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা দেশের পার্বত্য অঞ্চল হাওর অঞ্চলসহ পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোতে গিয়ে দেখেছি, স্বাস্থ্য খাতে এত এত সমস্যা। সেই বিষয়গুলো মিলিয়ে আমরা সুপারিশ করবো। এইবিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ের দিকে। তারপরও আমাদের মনে হচ্ছে, ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা আমাদের প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো না। সরকারের কাছে আমাদের আরো একটু সময় নিতে হবে। সেই সময়টুকু আমরা চাইবো।
আরো পড়ুন : জাতি ও পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে রিপোর্টগুলো গ্রহণ করলাম: ড. ইউনূস
সেই সময় কত দিন পর্যন্ত হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে সায়বা মেথড'স-এর উদ্ভাবক ডা সায়বা আক্তার বলেন, সর্বোচ্চ একমাস সময় চাইবো। তার বেশি অবশ্যই নয়। আশা করি এর মধ্যেই আমরা আমাদের প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থবহ সংস্কারের জন্য শুধু একটি সংস্কার কমিশন গঠনই যথেষ্ট নয়, মৌলিক পরিবর্তনের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণে নতুনভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের অপর সদস্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলছেন, মানুষ স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি পরিষ্কার পথনির্দেশনা আশা করছে, যেখানে লিঙ্গ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমতা নিশ্চিত হবে।
প্রসঙ্গত; দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সার্বজনীন করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৭ নভেম্বর ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেই হিসাবে প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।