রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা স্থাপনায় ভাঙচুর ও হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে সারা রাত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান স্থাপনায় ভাঙচুর ও হামলার এই ঘটনাগুলোকে আইনের শাসন, আইনের সমান আশ্রয় লাভ এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের পরিপন্থী।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে আসক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলা এবং ধ্বংস করার মতো একটি ঘোষণা দিনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাতে দেখা যায়। এর পরপরই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে ছাত্র-জনতা নামে একদল লোক জড়ো হয়ে ভাঙচুর, তাণ্ডব, লুটপাট শুরু করে। এক পর্যায়ে সেখানে আগুন দেয়া হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র গণমাধ্যমের সংবাদের বরাত দিয়ে বলছে, সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে উপস্থিত থাকলেও তাদের কোনো তৎপরতা ছিল না, বরং সেনাবাহিনীর দলটি এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে সারাদেশে এই ভাঙচুর ও লুটপাট ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া ধানমন্ডির সুধা সদনে লাগানো আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের 'নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায়' উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসনের চেতনার প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধাশীল এবং সমর্থন করে বলে জানিয়েছে আসক।

একইসঙ্গে তারা মনে করে, চলমান তাণ্ডবগুলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা হুমকিস্বরূপ। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আইন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।