বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের পর্যবেক্ষক হলেন জাকির হোসেন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম

এম জাকির হোসেন খান। ছবি : ভোরের কাগজ
বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের (সিআইএফ) নাগরিক সমাজ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এম জাকির হোসেন খান। বৃহস্পতিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর গণসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল হক হিরনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা–চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান ২০২৫-২০২৭ মেয়াদে জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের (সিআইএফ) স্ট্র্যাটেজিক ক্লাইমেট ফান্ড কমিটির নাগরিক সমাজ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ সিআইএফের অফিসিয়াল পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে, যা জলবায়ু সুশাসন শক্তিশালী করা এবং জলবায়ু অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের ভূমিকা আরো সুসংহত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে এম জাকির হোসেন খান বলেন, সিআইএফ-এর নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। জলবায়ু বিনিয়োগ নীতিগুলো যেন আরো স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কার্যকর হয়, সে লক্ষ্যে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবো।
আরো পড়ুন : আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন ট্রাম্প
তিনি বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য যথাযথ অর্থায়ন কাঠামো গড়ে তোলার পক্ষে আমরা সুপারিশ করবো। আমরা অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে এমন একটি নীতি কাঠামো গড়ে তুলতে চাই, যা প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সিআইএফের পর্যবেক্ষক হিসেবে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ প্রধান চারটি কৌশলগত ক্ষেত্রে জোরদার ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে। সেগুলো হলো, বিশ্ব পর্যায়ে সিআইএফের নীতি ও কৌশলগত সিদ্ধান্তে সরাসরি অবদান রাখা, জাতীয় জলবায়ু কৌশল ও নীতিমালাকে ন্যায্য ও টেকসই করার লক্ষে তা যথাযথভাবে পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা, স্থানীয় পর্যায়ে সিআইএফ অর্থায়নকৃত প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং জ্ঞান বিনিময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা এগিয়ে নেয়ার জন্য বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে অংশীজনদের সঙ্গে কার্যকর সম্পৃক্ততা বাড়ানো।