সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শিগগির বৈঠক: আলী রীয়াজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, শিগগিরই সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করা হবে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আলী রীয়াজ বলেন, আজকের বৈঠকটি সংলাপ ছিল না। এটি মূলত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে আলোচনা। আমরা এটিকে কমিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হিসেবেই দেখছি। তিনি জানান, বৈঠকে ২৭টির বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটের মোট ১০০ জনেরও বেশি নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন নেতা তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
আলী রীয়াজ বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে- জাতীয় ঐক্য রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তারা সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া সামনে এগোনো অসম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব- রাজনৈতিক দল, সমাজের নাগরিক এবং মানুষ হিসেবে এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।
ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আশা করছি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ এখন শুরু হবে। আমরা আলাদা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব। জোটগতভাবেও কথা বলব। হয়তো একপর্যায়ে সবাই একত্রিত হয়ে আবার ফিরে আসব। এই প্রক্রিয়াটা আমরা দীর্ঘসূত্রতা করতে চাই না, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এটা করতে পারব। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে- যেসব প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে, সেগুলোর তাদের কাছে হার্ড কপি দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে। সর্বোপরি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কারও কোনো রকম দ্বিধার সুযোগ নেই। সে আলোকে খুব দ্রুত আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে অগ্রসর হতে চাই। যতটুকু কাজ হয়েছে, তা সূচনা মাত্র।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করতে কতদিন লাগতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, এই কমিশনের মেয়াদ ৬ মাস। সেক্ষেত্রে কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে চাই। যেহেতু ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও আমরা দিয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করার জন্য তাদের একটু সময় দিতে হবে। আমরা চাই, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। কেননা এই সংস্কার কর্মসূচিগুলো অগ্রসর হওয়া এবং ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যেন আমরা নির্বাচনের পথে এগোতে পারি। আমরা আশা করি, ছয় মাসের কম সময়ে সম্ভব হবে।