জাল নোটের মামলায় অভিযুক্ত সাহেদ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০৩ পিএম
জালিয়াতি-প্রতারণায় আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে জাল নোটের মামলায় অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আগামী ১৫ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, মোহাম্মদ সাহেদ ও মাসুদ পারভজকে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে তারা ন্যায়বিচার চান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. দবির উদ্দিন এসময় অভিযোগ গঠনের জন্য সময় চেয়ে তাদের জামিন আবেদন করেন। বিচারক দুই আবেদন নাকচ করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
করোনা মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে গতবছর জুলাই মাসে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় র্যাব। ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের নানা দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে এরপর।
ওই বছর ১৪ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়া থানা এলাকার বরুণ বাজার থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকেও ধরে র্যাব।
সাহেদকে ঢাকায় আনার পর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে তার একটি অফিসে অভিযান চালানো হয়। সে সময় ওই অফিসে প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া যায় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে র্যাব-১ কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ১ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ঢাকার একটি মামলায় গতবছর সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সাহেদের প্রতারণা-জালিয়াতিতে ভুক্তিভোগিরাও কয়েক ডজন মামলা করছেন তার বিরুদ্ধে।