প্রথম মা হওয়ার কতদিন পর দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া স্বাস্থ্যসম্মত

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:০৪ এএম

প্রতীকী ছবি
এখনকার নারীরা সবকিছুতেই পরিকল্পনামাফিক চলেন। এক হাতে সামলান ঘর ও বাইরের কাজ। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত ভেবেচিন্তে নিয়ে বর্তমান ইঁদুর দৌড়ের জীবনে সবাইকেই অনেক ভেবেচিন্তে চলতে হয়। এখনকার নারীরা যে কোনো পদক্ষেপের আগেই পরিকল্পনা করেন। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত ভেবেচিন্তে নেন। যেমন করোনায় দীর্ঘ লকডাউনে ঘরবন্দি সময়কে অনেকেই কাজে লাগিয়েছেন। অনেক নারীই এই সময় মা হয়েছেন। তাছাড়া মহামারির কারণে ঘরে বসে কাজ করার ফলে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হননি অনেকেই।
অনেকেই দ্বিতীয় সন্তানের কথাও ভেবেছেন। এখনও যেহেতু করোনা মহামারি শেষ হয়নি, তাই ঘরে বসে কাজ করতে হচ্ছে অনেককেই। ফলে প্রথম সন্তানের জন্ম দেয়ার কয়েক মাস পরেই কেউ কেউ শুরু করেছেন দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পরিকল্পনা। কিন্তু এমন ভাবনা কি স্বাস্থ্যসম্মত? বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানিয়েছে, প্রথম সন্তানের জন্ম দেয়ার পর দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মাঝে অন্তত দুই বছরের ব্যবধান থাকা উচিত। এমনকি যাদের অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত হয়, তাদেরকেও অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করা উচিত পরবর্তী পদক্ষেপের আগে। কারণ খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। একই সঙ্গে দুই সন্তান জন্মের ব্যবধান বেড়ে যাওয়া ঠিক নয়। গাইনী বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুই সন্তানের মধ্যে অন্তত পাঁচ বছরের ব্যবধান রাখা যথেষ্ঠ। তার বেশি ব্যবধান মা ও সন্তান, দুজনের পক্ষেই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হলে যেসব সমস্যা হতে পারে
১) অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
২) নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নিতে পারে সন্তান।
৩) অন্তঃসত্ত্বারা রক্তস্বল্পতায় ভুগতে পারেন।
৪) দ্বিতীয় সন্তান অটিজম বা সিজোফ্রেনিয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।