প্লাস্টিকের বোতলের পানি পান কতটা নিরাপদ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৪৮ পিএম
নরম পানীয় বা প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের বোতলগুলির ফাঁকা হওয়ার পরে সেগুলি নষ্ট করে দেওয়ার কথা বোতলের গায়েই লেখা থাকে। কিন্তু অনেকেই তা না করে বোতলগুলি ভবিষ্যতের ব্যবহারের জন্য রেখে দেন।
এভাবেই পুরনো প্লাস্টিক বোতল থেকে পানি পান নিয়েই সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
প্লাস্টিকের বোতলে জল অথবা নরম পানীয় কিনে পান করেছেন। বোতল ফাঁকা হওয়ার পরে বোতল ফেললেন না। বরং জল পান করার জন্য সেই বোতলই ব্যবহার শুরু করলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, পানীয় বা নরম পানীয়ের এই ধরনের প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভরে বার বার খাওয়া মানুষের শরীরের জন্য যথেষ্টই ক্ষতিকারক হতে পারে।
নরম পানীয় বা প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের বোতলগুলির ফাঁকা হওয়ার পরে সেগুলি নষ্ট করে দেওয়ার কথা বোতলের গায়েই লেখা থাকে। কিন্তু অনেকেই তা না করে বোতলগুলি ভবিষ্যতের ব্যবহারের জন্য রেখে দেন।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক গৌতম ঘোষের দাবি, যত সময় যায়, এই ধরনের বোতলগুলির প্লাস্টিকের সঙ্গে জলের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। যাকে বলা হয় ‘লিচিং’। জলের মধ্যে মেশে প্লাস্টিকের মধ্যে মিশে থাকা রাসায়নিক অংশ। সেই পানিই পান করেন মানুষ। সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই লিচিং-এর ফলে মানুষের দেহে ক্যানসারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কাও পুরোপুরি অমূলক নয় বলেই দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক।
শুধু পুরনো প্লাস্টিকের বোতলে জল পান করার ক্ষেত্রেই নয়, বরং নতুন পানির বোতল কেনার সময়ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ, রোদে বা খোলা জায়গা রাখা পানির বোতল না কিনে দোকানের ভিতরে রাখা রয়েছে, এমন পানির বোতল কেনাই শ্রেয়। কারণ নতুন পানির বোতল হলেও একটানা রোদ লাগার ফলে সেই বোতলের ভিতরেও লিচিং বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। বোতলের গায়ে আইএসআই ছাপ রয়েছে কি না, তাও দেখে নেওয়া উচিত।
আর বাড়িতে বা বাড়ির বাইরে পানি পানের জন্য বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের জলের বোতল বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। তুলনায় একটু দাম বেশি হলেও, সেই বোতলে পানি ভরেই পান করা উচিত।