গলা ভাঙায় ঘরোয়া টোটকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৪:৩৯ পিএম
ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন কণ্ঠনালী দিয়ে ফ্যাসফ্যাস আওয়াজ আসছে। যেটাই বলার চেষ্টা করছেন কষ্ট হচ্ছে।
সাধারণত গলার স্বর বসা বা ভাঙার প্রাথমিক কারণ হলো শ্বাসনালীতে ইনফেকশান বা সংক্রমণ। ইনফেকশান বা অন্য কোনও কারণে যদি গলার স্বর ভাঙে তবে তা বিশ্রাম ও সামান্য ওষুধ ব্যবহার করলে ভাল হয়ে যায়।
গলার স্বরের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রথমেই কথা বলা কমিয়ে দিতে হবে। সম্ভব হলে কথা বলা বন্ধ করে দিতে হবে। ঠাণ্ডার কারণে যদি গলা বসে যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। গলার সাধারণ ব্যথা বা গলা ভাঙার জন্য ভাল একটি ওষুধ হলো গরম বাষ্প। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয় তবে গলার উপকার হয়। দৈনিক অন্তত দশ মিনিট এ ভাবে গরম ভাপ নিতে হবে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা হলে তাতেও উপকার পাওয়া যায়।
তবে এমন সব চিকিৎসাও অনেক সময় কাজে দেয় না। দিনের পর দিন ধরে গলার স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না। স্বর বদলে যায়। ফ্যাস ফ্যাসে আওয়াজ হয়। এ ধরণের পরিস্থিতিকে সব সময় বিপদের লক্ষণ হিসেবে ধরতে হবে। গলা একবার বসে যাওয়ার পর চার সপ্তাহ বড় জোর ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দেরি করা যায়। চিকিৎসকরা মনে করেন কারো গলা ভাঙ্গা যদি ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে তাকে দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এ ধরনের স্বর বসে যাওয়া অনেক সময়ই মারাত্মক রোগের লক্ষণ হয়ে আসে।
তবে প্রাথমিকভাবে ঘরেই নিতে পারেন কিছু চিকিৎসা- যেমন লবঙ্গ মুখে রাখতে পারেন। তবে দীর্ঘক্ষণ লবঙ্গ মুখে রাখলে সেটি জিহ্বার চামড়া পুড়িয়ে দিতে পারে। গরম পানিতে লবঙ্গ দিয়ে সেই পানি মুখে দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন।
আদা, মধু, তুলশি পাতার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। এতে একটুকরো আদা (দুই ইঞ্চি), এক মুঠো তুলশি পাতা ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এটি তৈরি করে সারাদিন চা বা গরম পানি দিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।