ব্রিজ নিয়ে টানা হেঁচড়া, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কয়রাখোলা গ্রামের খালের ওপর ব্রিজ তৈরীর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে সভা করেছে এলাকাবাসী।
এক স্থানের ব্রিজ অন্যস্থানে নির্মাণের ঘটনায় সোমবার কয়রাখোলা মহিলা মাদ্রাসার ছবিল মিয়ার দোকানের সামনে সভা ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় কয়েক কুচক্রী লোক মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উপজেলা অফিস ম্যানেজ করে এক জায়গার ব্রিজ অন্য জায়গায় নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এলাকাবাসী ২ ঘণ্টাব্যাপী সভা করে। সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মো. মনির হোসেন, মো. মাহিউদ্দিন মাহি, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. লিয়াকত আলী, রুমা দত্ত, মোসলেম মিয়া, মো. আবু তালেব প্রমুখ।
বিক্ষোভ করে তারা দাবি করেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় গ্রামীণ রাস্তায় ২৪ফুট প্রস্থ ও ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যর ব্রিজ নির্মাণের আওতায় গ্রামের কবরস্থান ঈদগা সংলগ্ন মহিলা মাদ্রাসার পুরানো খেয়াঘাটের পাশে নির্মাণ ৩০১৯ কোড প্রকল্প অনুমোদন হয়। কিন্তু ব্রিজ অনুমোদনের পর স্থানীয় কয়েকজন কুচক্রী প্রভাব খাটিয়ে ওই ব্রিজ একই গ্রামের আধা কিলোমিটার দক্ষিণে নির্মাণ করতে চাচ্ছেন।
এসময় তারা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। জানা গেছে, ব্রিজটির নির্মাণ কাজের অনুমোদনের দুই বছর পর গত ৪-৫ দিন পূর্বে ওই স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য মাটির লেয়ারসহ আনুষঙ্গিক দেখে গেছেন। উপজেলার কয়রা খোলা গ্রামের খালের ওপর সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকার শিক্ষার্থীসহ ৮টি গ্রামের হাজারো মানুষ। গ্রামবাসী দীর্ঘদিন সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও আজ পর্যন্ত এটি আলোর মুখ দেখেনি। একটি বাঁশের সাঁকো থাকলেও পারাপারের সময় শিশু শিক্ষার্থীসহ বয়স্করা প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপারের ভয়ে স্কুল, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়। বাতাস হলেই সাঁকোটি দুলতে থাকে।
গ্রামে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলে ও সাঁকো পার হয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়ার সাহস পান না রোগীরা। সিরাজদিখানের বালুরচর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নির্ধারিত স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য কবস্থান ঈদগা সংলগ্ন মহিলা মাদ্রাসার পুরানো খেয়াঘাটের পাশে নির্মাণ ৩০১৯ কোড প্রকল্প অনুমোদন হয় সেখানেই ব্রিজ হবে।
কয়রাখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত আলী ও আলোর পাঠশালা কিন্টার গার্টেনের পরিচালক মো. মাউদ্দিন বলেন, সেতু পার হতে গিয়ে প্রায়ই শিশু-বৃদ্ধরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আমিও বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, গ্রামের কবরস্থান ঈদগা সংলগ্ন মহিলা মাদ্রাসার পুরানো খেয়াঘাটের পাশে নির্মাণ ৩০১৯ কোড অনুযায়ীই ব্রিজ নির্মান হবে। সিরাজদিখান উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী ঈদগা সংলগ্ন মহিলা মাদ্রাসার পুরানো খেয়াঘাটের পাশে ব্রিজ নির্মাণ হবে অন্যাথায় হবে না।